গ্যাসের চুলার দাম বাংলাদেশ || গ্যাসের চুলার দাম কত।

Written by Madhobi Sen

Updated on:

এই আর্টিকেল থেকে আপনি গ্যাসের চুলার দাম বাংলাদেশ এ কত এই বিষয়ে জানতে পারবেন। বাংলাদেশে রান্নাঘরের একটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হলো গ্যাসের চুলা। ঘরে খাবার রান্না করার জন্য গ্যাসের চুলা ছাড়া জীবন অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের ও ব্র্যান্ডের গ্যাসের চুলা পাওয়া যায়। গ্যাসের চুলার দাম নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়গুলোর উপর যেমন ব্র্যান্ড, বার্নারের সংখ্যা, ফিচার, ডিজাইন এবং চুলার উপাদানের গুণগত মান

২০২৪ সালে গ্যাসের চুলার দাম কত হতে পারে এবং কীভাবে তা নির্ধারণ করা হয়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

WhatsApp Group Join Now

দাম নির্ধারণের প্রধান বিষয়সমূহ

গ্যাসের চুলার দাম কয়েকটি মূল ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়:

ব্র্যান্ড: বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাসের চুলার দাম আলাদা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ওয়ালটন, সিঙ্গার, আরএফএল, এবং নোভা ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। প্রতিটি ব্র্যান্ডের নিজস্ব গুণগত মান এবং ফিচারের কারণে দামের পার্থক্য ঘটে।

WhatsApp Group Join Now

মডেল এবং ফিচার: গ্যাসের চুলার উন্নত মডেল এবং ফিচার থাকা মানে এর দামও বেশি। যেমন ডিজিটাল ইগনিশন, অটো অফ ফাংশন, এনার্জি সেভিং ফিচার ইত্যাদি। এই ধরনের ফিচার গ্যাসের চুলা ব্যবহারে সুবিধা এবং নিরাপত্তা যোগ করে।

উপাদান: গ্যাসের চুলার উপাদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত স্টেইনলেস স্টিল, টেম্পার্ড গ্লাস, এবং কাস্ট আয়রন দিয়ে তৈরি চুলাগুলো বেশি টেকসই হয়। এর উপরের অংশের উপাদানও দামের ওপর প্রভাব ফেলে।

WhatsApp Group Join Now

বাজারের চাহিদা: বিভিন্ন উৎসব বা বিশেষ মৌসুমে গ্যাসের চুলার চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে এসময়ে দামও কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

গ্যাসের চুলার দাম বাংলাদেশ

গ্যাসের চুলার দাম নির্ভর করে বার্নারের সংখ্যা এবং ফিচারের উপর। নিচে একটি টেবিলের মাধ্যমে দাম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলো:

WhatsApp Group Join Now
বার্নারের সংখ্যাদাম (টাকা)
সিঙ্গেল বার্নার১,০০০ – ২,০০০ টাকা
ডাবল বার্নার২,৫০০ – ২০,০০০ টাকা
ট্রিপল বার্নার৭,০০০ – ৩০,০০০ টাকা
ফোর বার্নার১৫,০০০ – ১,০০,০০০ টাকা

এই দামের বিভিন্নতা নির্ভর করে চুলার উপাদান, ফিচার এবং ব্র্যান্ডের উপর।

ব্র্যান্ড অনুযায়ী গ্যাসের চুলার দাম

গ্যাসের চুলার দাম ব্র্যান্ড অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। নিচে জনপ্রিয় কিছু ব্র্যান্ডের গ্যাসের চুলার দাম উল্লেখ করা হলো:

WhatsApp Group Join Now
ব্র্যান্ডের নামদাম (টাকা)
আরএফএল১,৬০০ – ১১,০০০ টাকা
ওয়ালটন১,৫০০ – ১৩,০০০ টাকা
রিফ্রেশ১,৮০০ – ১৫,০০০ টাকা
এলিট২,০০০ – ১৫,০০০ টাকা
সিঙ্গার২,৫০০ – ১৮,০০০ টাকা
মিয়াকো৩,৫০০ – ২০,০০০ টাকা

কিছু জনপ্রিয় মডেলের গ্যাসের চুলার দাম

মডেল অনুযায়ীও গ্যাসের চুলার দামে পরিবর্তন হয়। কিছু জনপ্রিয় মডেলের চুলার দাম দেওয়া হলো:

মডেলদাম (টাকা)
RFL Double SS Auto Gas Stove (QUEEN CI) LPG৩,৭৫০ টাকা
RFL Double S.S. Auto Gas Stove 2-04 SRB LPG৫,০০০ টাকা
WGS-GNS2 (LPG / NG)৩,৮৫০ টাকা
WGS-GNS1 (LPG / NG)৪,০৯০ টাকা
VSN NG Double SS Gstv Super৩,৭৫০ টাকা
VSN LPG Double Glass Gstv Fancy৪,৫৭৫ টাকা
HTG-2889 – Gazi Gas Stove৩,৮০০ টাকা
HTG-3205A – Gazi Gas Stove৪,০০০ টাকা
Gas Cooker MGS – 132DG RED৬,০০০ টাকা
Gas Cooker MGS-132DG Rainbow৬,২০০ টাকা

গ্যাসের চুলা নির্বাচনের সময় যেসব বিষয় বিবেচনা করবেন

gas stove price in bangladesh 1
গ্যাসের চুলা নির্বাচনের সময় যেসব বিষয় বিবেচনা করবেন।

গ্যাসের চুলা কেনার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। এগুলো ঠিকভাবে বুঝে গ্যাসের চুলা কিনলে তা দীর্ঘমেয়াদী হয় এবং সুবিধাজনক হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হলো:

WhatsApp Group Join Now

জ্বালানির ধরন: আপনার চুলা প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলপিজি নির্ভর কিনা তা আগে নিশ্চিত করুন। কারণ জ্বালানির ধরন অনুযায়ী চুলার কার্যকারিতা এবং নকশা ভিন্ন হয়।

বার্নারের সংখ্যা: আপনার রান্নার চাহিদা অনুযায়ী বার্নারের সংখ্যা নির্ধারণ করুন। একক পরিবারে সিঙ্গেল বা ডাবল বার্নার যথেষ্ট হতে পারে। কিন্তু বেশি সদস্যের পরিবারের জন্য ট্রিপল বা ফোর বার্নার প্রয়োজন হতে পারে।

WhatsApp Group Join Now

উপাদান: গ্যাসের চুলার উপরের অংশের উপাদান যেমন টেম্পার্ড গ্লাস, স্টেইনলেস স্টিল বা কাস্ট আয়রন তার দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। এছাড়াও এই উপাদানগুলো পরিষ্কার করাও সহজ হয়।

সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য: গ্যাস লিক প্রতিরোধক ব্যবস্থা, অটো ইগনিশন, এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকা গ্যাসের চুলাগুলো কেনার সময় বিবেচনায় রাখা উচিত। এটি আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য নিরাপদ থাকে।

WhatsApp Group Join Now

গ্যাসের চুলা কেনার সময় টিপস

গ্যাসের চুলা কেনার সময় কিছু টিপস মেনে চললে ভালো মানের পণ্য কিনতে পারবেন:

  • বাজেট ঠিক করুন: গ্যাসের চুলা বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়, তাই আপনার বাজেটের সাথে মিলিয়ে কিনুন।
  • বার্নার সংখ্যা ঠিক করুন: পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং রান্নার প্রয়োজন অনুযায়ী বার্নারের সংখ্যা ঠিক করুন।
  • ফিচার সম্পর্কে ধারণা নিন: ডিজিটাল ইগনিশন, অটো অফ ফাংশন, এনার্জি সেভিং ফিচার ইত্যাদি সুবিধা আপনার প্রয়োজন কিনা তা ঠিক করুন।
  • ব্র্যান্ড নির্বাচন করুন: পরিচিত এবং সুনামধারী ব্র্যান্ডের চুলা কিনুন।
  • ওয়ারেন্টি সম্পর্কে জানুন: গ্যাসের চুলা কেনার আগে ওয়ারেন্টি সুবিধা সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।

গ্যাসের চুলার দাম কমানোর কিছু উপায়:

গ্যাসের চুলার দাম কিছু পদ্ধতি মেনে কমিয়ে আনা সম্ভব। নিচে কিছু সহজ উপায় উল্লেখ করা হলো:

WhatsApp Group Join Now
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও অনলাইন শপ থেকে কিনুন: অনেক ব্র্যান্ড তাদের ওয়েবসাইট বা অনলাইন শপে বিশেষ ছাড় দেয়।
  • বাজার দর যাচাই করুন: বিভিন্ন দোকানের দাম যাচাই করে সবচেয়ে সস্তা চুলা কিনুন।
  • পুরাতন চুলা পরিবর্তন করুন: কিছু দোকানে পুরাতন চুলা দিয়ে নতুন চুলা কিনলে ছাড় দেয়া হয়।
  • উৎসবের সময় কিনুন: বিভিন্ন উৎসবের সময় বিশেষ অফার দেয়া হয়, যা আপনার খরচ কমাতে সাহায্য করবে।

গ্যাসের চুলা দীর্ঘস্থায়ী করতে নিয়মিত যত্ন নেয়া প্রয়োজন। কিছু সহজ যত্নের পদ্ধতি হলো:

  • নিয়মিত পরিষ্কার করুন: গ্যাসের চুলা ব্যবহার শেষে নিয়মিত পরিষ্কার করলে এটি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং নিরাপদ থাকে।
  • ভারী জিনিসপত্র রাখবেন না: গ্যাসের চুলার উপরে ভারী জিনিসপত্র রাখা উচিত নয়।
  • সাবধানে ব্যবহার করুন: গ্যাসের চুলা ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং সঠিক পদ্ধতিতে চালান।

শেষ কথা

আশাকরি আমার এই গ্যাসের চুলার দাম বাংলাদেশ লেখাটি আপনার উপকারে এসেছে। গ্যাসের চুলা বাংলাদেশের ঘরে প্রতিদিনের গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। ২০২৪ সালে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাসের চুলার দাম ১,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। আপনি যে ব্র্যান্ড বা মডেলই বেছে নিন, ভালো মান এবং সুরক্ষা ফিচারসহ গ্যাসের চুলা কেনা অবশ্যই জরুরি। অন্যান্য তথ্য সবার আগে জানতে আমাদের মূলপাতা ভিজিট করুন।

WhatsApp Group Join Now

Avatar of Madhobi Sen
Madhobi Sen

নমস্কার! আমি Madhobi Sen, এবং গত ৪ বছর ধরে বিভিন্ন বিষয়ে নিবন্ধ লিখছি। বিশেষ করে আজকের রেট, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, আজকের খবর, বিনিয়োগ ও সঞ্চয়, মিউচুয়াল ফান্ড, রোজগার ও আয়, এবং শেয়ার বাজার নিয়ে লিখতে ভালোবাসি। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা করি এবং সহজ ভাষায় পাঠকের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার লক্ষ্য হলো পাঠকদের সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা, যাতে তারা বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের ব্যাপারে সচেতন হয়ে উঠতে পারে।